আজকে আমরা জানার চেষ্টা করবো অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম সম্পর্কে। কোন চুক্তির লিখিত রুপ হলো অঙ্গীকারনামা। চাকরির অঙ্গীকারনামা নমুনা ও প্রয়োজনীয় কাজে চুক্রিপত্র করা জরুরী। এখানে আমরা চেষ্টা করেছি সহজেই কিভাবে আপনি অঙ্গীকারনামা লিখবেন। প্রাথমিক থেকে গভীর পর্যন্ত আপনি জানতে পারবেন সকল বিষয়ের অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম সম্পর্কে খুব সহজ সাবলীল ভাষায়।
-
অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম
-
অঙ্গীকারনামা কিভাবে লিখবেন
-
চাকরির অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম
-
ভোটার অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম
-
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গীকারনামা
অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম
অঙ্গীকারনামা লেখার পূর্ব শর্ত অঙ্গীকারনামাটি স্ট্যাম্পে লিখতে হবে। স্ট্যাম্প ছাড়া অন্য কিছুতে অঙ্গীকারনামা বা চুক্তিপত্র লেখা মানে বৃষ্টির মধ্যে দাড়িয়ে ছাতা বন্ধ করে রাখার মতো। অর্থাৎ, স্ট্যাম্পে লেখা চুক্তিপত্র বা অঙ্গীকারনামা বাদে অন্য কিছুতে লেখা অঙ্গীকারনামা বা চুক্তিপত্র লেখা কোনো ভাবেই গ্রহণ যোগ্য না।
প্রথমত, চুক্তিতে যেসকল পক্ষ অংশগ্রহণ করবে সে সব পক্ষের নাম ঠিকানা স্পষ্ট করতে উল্লেখ করতে হবে। আর যদি কোন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান হয় সে ক্ষেত্রে ঐ প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে।
যাদের সাথে চুক্তি করছেন, ঐ চুক্তি অনুসারে কার কতটুকু অংশ বা ভূমিকা থাকবে, কোন বিষয় নিয়ে কিংবা কাজ নিয়ে চুক্তি হচ্ছে ঐ সকল বিষয় উল্লেখপূর্বক চুক্তির শুরুর তারিখ থাকতে হবে। আর যদি চুক্তি নির্দিষ্ট সময়ের জন্যে হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে কবে চুক্তি শুরু হচ্ছে আর কবে চুক্তি শেষ হচ্ছে তার তারিখ উল্লেখ করে দিতে হবে।
বর্তমানে সব ক্ষেত্রেই মীমাংসার মাধ্যমে যেকোনো বিরোধ নিষ্পত্তিকে উৎসাহিত করা হয়। তাই চুক্তিপত্রের একটি অনুচ্ছেদে এ-সংক্রান্ত শর্ত রাখা জরুরি। চুক্তিনামায় সালিস আইন ২০০১-এর মাধ্যমে নিষ্পত্তির বিধানটি রাখা যেতে পারে।
যারা যারা চুক্তিতে আবদ্ধ হচ্ছেন চুক্তির শেষে সেই সব পক্ষের স্বাক্ষর ও স্বাক্ষীদের স্বাক্ষর নিতে হবে। চুক্তি করার সময় নাবালক, পাগল, দেউলিয়া ব্যক্তি, সরকারি কর্মচারী, রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রী, বিদেশি রাষ্ট্রদূত, বিদেশি শত্রু ও দেশদ্রোহী ব্যক্তির সঙ্গে কোনো চুক্তি করা যাবে না।
অঙ্গীকারনামা কিভাবে লিখবেন
অঙ্গীকারের নাম আর লেখার জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বিভিন্ন দামের স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামা লিখতে হবে। এসকলে স্ট্যাম্প বাদে আপনি সাদা কাগজ বা বিভিন্ন কাগজে অঙ্গীকারনামা লিখলে তার কোন ভ্যালু থাকে না। স্ট্যাম্পে লেখা চুক্তিপত্র বা অঙ্গীকারনামা বাদে অন্য কোন সাদা কাগজে অঙ্গীকারনামা বাদ চুক্তিপত্রের লেখা আইনিভাবে কখনো গ্রহণযোগ্য হয় না।
তবে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান মধ্যে কোন চুক্তি হলে সে ক্ষেত্রে নিজস্ব সিল বা লোগো যুক্ত প্যাড বা কাগজে চুক্তিবদ্ধ করে লিখতে হবে । যেমন, মনে করেন, কোন দোকানে ক্যাশ মেমো লেখা টাকা পয়সা আইন-আদালত-এর কাছে গ্রহণযোগ্য । তবে অবশ্যই প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ছাড়া অন্য কোন এমন চুক্তি না করাই ভালো । অঙ্গীকারনামা চুক্তিপত্র জুডিশিয়াল বা নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে লেখাই সবথেকে ভালো ।
চাকরির অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম
বর্তমানে লোকেরা চাকরির জন্য চাকরির অঙ্গীকারনামা নমুনা খুঁজে থাকেন । আপনারা যারা চাকরির জন্য অঙ্গীকারনামা লিখবেন তারা অবশ্যই অঙ্গীকারনামা কোম্পানির কাছ থেকে কম্পানি পলিসি সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিবেন এতে আপনাদের অনেক উপকার হবে । কারণ চাকরি আপনি করবেন আপনাকে চাকরির অঙ্গীকারনামা জমা দিতে হবে । কোন কোম্পানি চাকরিতে জয়েন করবে অঙ্গীকারনামা জমা দিতে হবে। তাই এই অঙ্গীকারনামা সঠিকভাবে দেখে বিবেচনা করে আপনি কোম্পানিতে জয়েন করবেন।চাকরির জন্য নির্দিষ্ট জামানত বা সনদপত্র জমা দিতে হবে কিনা সবকিছুই অঙ্গিকার নামে উল্লেখ করা থাকবে।
অঙ্গীকারনামা নমুনা
আমি………….. পিতা…………… মাতা ………………..ঠিকানা……………. স্থায়ী ঠিকানা………… ডাকঘর ……………উপজেলা……….. জেলা………. জাতীয়তা………………..।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশ বেতার সদর দপ্তর ঢাকা গত তারিখ ………….তারিখের ………….. নাম্বার অফিসে আদেশের আলোকে জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী (১৮০০০/২২০০০ বেতন স্কেলে বাংলাদেশ বেতার রাজস্ব খাৎভুক্ত’’ স্টোর কিপার র্পদে’’’ নিয়োগ পাই। আমার রোল…………..
আমি এই মর্মে অঙ্গীকারনামা দাখিল করতেছি যে আমি এই চাকুরী অবস্থায় কোন রকম খারাপ ও অপরাধমূলক কাজ করব না। সর্বদাই সেবা দেওয়ার চেষ্টা করব। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারবিধি মোতাবেক যেকোনো শাস্তি গ্রহণ করতে বাধিতে থাকব।
আমি আরও অঙ্গীকার করছি যে উপরে বর্ণিত অঙ্গীকারনামায় আমি স্ব শরীরে ও সুস্থ মস্তিষ্কে বিবরণ পরিয়া নিম্নে স্বাক্ষর করিলাম।
সাক্ষী গনের স্বাক্ষরও ঠিকানা
ভোটার অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম
সবার ক্ষেত্রে হওয়ার অঙ্গীকারনামা লাগেনা । মূলত যারা বেশি বয়সে ভোটার হয় তারা আগে ভোটার হয়নি এমন একটি অঙ্গীকার সরকারের নিকট করতে হবে এছাড়াও যারা দেশের বাইরে থেকে দেশে এসে ভোটার হতে চায় বা বসবাস করতে চায় তাদের একটি অঙ্গীকারনামা দিতে হয় ।
এটিকে ফর্মালিটি কাগজও বলতে পারেন । সব জায়গায় শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতন এখানে গাফিলতি করলে আপনাকে দিনের পর দিন ঘুরতে হবে যেখানে কিনা আপনি একটি অঙ্গীকারনামা লিখলেই আপনার কাজ হয়ে যাচ্ছে । আশা করি সম্পূর্ণ আর্টিকেল ঝুড়ি আপনারা এই সমস্ত নিয়ম কানুন ফলো করলে আপনাদের খুঁটিনাটি বিষয় অভিজ্ঞতা পাবেন এতে আপনারা উপকার পাবেন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গীকারনামা
বর্তমানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আপনি যদি অনার্সে ভর্তি হতে চান তাহলে অঙ্গীকারনামার প্রয়োজন পড়বে। আপনারা যারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ডিগ্রী পাস করছে ভর্তি হতে চান তাদের জন্য অঙ্গীকারনামার প্রয়োজন পড়বে। এর পাশাপাশি মাস্টার্স এবং অন্যান্য প্রাইভেট সেশনে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রেও সবার প্রথমে যেই জিনিসটির প্রয়োজন পড়বে সেটি হচ্ছে অঙ্গীকারনামা।
তাই আপনাদের যদি অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম জানিয়ে দিতে পারি তাহলে সে অনুযায়ী আপনারা সেটা লিখে নিয়ে খুব সহজেই কম্পিউটারে স্ক্যান করতে পারবেন এবং ভর্তির সময় আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে পারবেন। তাই আপনাদের জন্য আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা খুব সহজে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গীকার নামা লেখার নিয়ম সম্পর্কে জানিয়ে দিলাম যাতে করে এটা আপনারা লিখে সেই অনুযায়ী প্রত্যেকটি কাজ সম্পন্ন করতে পারেন।
আজকের এই পোস্টে আমি আপনাদের সাথে অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম জানাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আশা করছি আজকের আর্টিকেলে সে সম্পর্কে কিছুটা ধারণা দিতে পেরেছি। এ বিষয়ে কোনো প্রশ্ন বা মতামত থাকলে তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন।